Shafeen and Dia planning to how to cut the cake while all photographers were busy |
আমি সাধারনত: প্রতিদিনের রান্নাও রেসিপি দেখে করি, আর দাওয়াত খাওয়াতে গেলে তো রেসিপি ছাড়া কিছু চেষ্টাই করিনা। কারন আমার রান্না কারো সামনে আনার মতো হয় না। রান্না শেখার জন্য আর খাওয়ার যোগ্য বানাতে হলে রেসিপি ছাড়া গতি নেই। নেহায়েত বিপদে না পড়লে নিজের মতো রান্না করিনা। এবার তাই হলো। অবরোধের মধ্যে শাফিনের পরীক্ষা শেষ হলো। ছেলেকে গার্ড অব অনার দিয়ে পরীক্ষা দিতে নিয়ে গেলাম। ফেরার পথেই বাজার আর রা্ন্নার প্লান। পরের দিনই খাওয়াবো, দাওয়াতও দিয়ে দিলাম। এরপর কোন প্লান ছাড়াই শুরু করে দিলাম রান্না। শেষ পর্যন্ত আলুর চপ আর পালং শাকের আইডিয়া সময়ের অভাবে বাদ দিলাম। রান্না করতে পেরেছিলাম স্টিম রাইস, পোলাও, খাসির তরকারী, মুরগীর তরকারী, মুরগির ব্রোস্ট, ডাল, ফুলকপি আর গাজরের মিক্সড সব্জি, টমেটো আর গাজরের সালাদ আর সাথে একটু লেবু কেটে দিয়েছি। এটুকু বলতে পারি সবই খাবার যোগ্য হয়েছিল। বিশেষ করে বাচ্চারা আমার রান্না খুবই পছন্দ করেছে। খুব শান্তি শান্তি লাগছে। এতোদিনে নিজের মতো কিছু রান্না করতে শিখেছি। আর একেবারে খাবার অযোগ্য হয়নি।
হুড়াহুড়ি করে কাজ করতে গিয়ে যা হলো, পছন্দ মতো ঘর সাজাতে পারিনি, ছেলেকে তৈরি করতে পারিনি আর নিজে তো একেবারেই সাজতে পারিনি, রা্ন্নার বা খাবারের ছবি তুলতেও ভুলে গিয়েছি, কেক কাটার সময় বাচ্চা ম্যানেজ করতে পারিনি, কিছু বোঝার আগেই শাফিন আর দিয়া কেক কেটে ফেলেছে আর মোমবাতি জ্বালানোর পর মুহূর্তেই ফু দিয়ে নিভিয়ে দিয়েছে। হয়তো কোনদিন এসবও ম্যানেজ করতে শিখে যাব :)
No comments:
Post a Comment