"টেনশন ছাড়া কি মানুষ বাঁচে?", বেশ আগে, আমার বয়স যখন ১৫ (বিশেষ কারনে বয়সটা মনে আছে, তবে সেটা আজকে আর বলবো না) তখন আম্মাকে নিয়ে এক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। সম্ভবত: হার্টের ডাক্তার। বেশ রাশভারী ভদ্রলোক। আমাদেরকে আগের পেশেন্ট বের হবার আগে ঢুকতে বলা হলো। তখন শুনলাম, ডাক্তার সাহেব রোগীকে বলছেন, একদম দুশ্চিন্তা করবেন না। ভদ্রলোক (রোগী) হেসে উত্তর দিলেন, টেনশন ছাড়া কি মানুষ বাঁচে। উনি হয়তো ব্যবসায়ী ছিলেন।
আমি আমার ১৫বছরের বুদ্ধি দিয়ে বিষয়টা নিয়ে বেশ চিন্তা করলাম। আমি কি পারি টেনশন না করে থাকতে। তখন আমার বড় টেনশন ছিল "পরীক্ষা"।
ভেবে দেখলাম, এই টেনশন আমি পুরোপুরি মাথা থেকে বের করে দিতে পারি। তাই ভেবেছিলাম ভবিষ্যতে হয়তো আমার হার্টের কোন সমস্যা হবে না।
আজ বুঝি কেন ঐ ভদ্রলোক এতো বড় সত্যি কথাটা বলেছিলেন। এখন কোন বিষয় নিয়ে যখন মনকে বোঝাই যা ভাবার ভেবেছি, যা করার করা হয়ে গিয়েছে, এখন এ নিয়ে আর ভেবে সময় আর মাথা নষ্টের মানা হয়না। তখনই দেখি আরো নানা চিন্তা আর টেনশনের বিষয় মাথায় চলে আসছে। যেন এরা অপেক্ষা করছিল। কখন এই লোকের মাথা জুরে বসা ভাবনাটা সরবে, আর আমরা আমাদের জায়গা করে নিব। আজ আমিও বলি, টেনশন ছাড়া কি মানুষ বাঁচে?
No comments:
Post a Comment