শাফিন পেন্সিল সার্প করছে, হোমওয়ার্ক করার জন্য (যদিও এর দরকার ছিল না) |
ছেলের পড়াশুনার অবস্থা দেখে খুব মন খারাপ করছিলাম। আমার বড় বোন (শারমিন) আমাকে এইজন্য নানা ভাবে শান্ত্বনা দিল। ওর কথাগুলো সত্যি মনে একটা আশা তৈরি করেছে, হয়তো বড় হয়ে শাফিন (আমার সাড়ে চার বছরের ছেলে) ভাল করবে। তাই কথাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
ও বলল, শিক্ষা বোর্ডে যারা সিলেবাস তৈরি করেন, তারা বিদেশ থেকে পি এইচ ডি নিয়ে এসেছেন, এই সব বিষয়ে। ওরা কি চাইলে কঠিন করে অনেক পড়া দিয়ে বোর্ডের বই তৈরি করতে পারতেন না? কিন্তু ওরা জানেন ৫ বছরের নিচের বাচ্চাদের কখনোও পড়ার চাপ বা মানসিক চাপ দিতে হয়না। কারন এতে ওর ব্রেইনের পারমানেন্ট ড্যামেজ হয়। বড় হয়ে এই ব্রেন আর সেভাবে কাজ করবে না যেভাবে করা উচিত ছিল। ঢাকা ইউনিভারসিটিতে অনেক ছেলে একদম গ্রাম থেকে আসে, সেখানকার পড়ার মান নিয়ে কারো সন্দেহ নেই। কিন্তু পরবর্তিতে দেখা যায় এরাই ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট হচ্ছে। লেখক হুমায়ুন আহমেদ আর তার ভাইবোনরা ছোট বেলায় কি রকম পরিবেশে পড়াশুনা করেছেন, অথচ পরবর্তিতে তারা কত ভাল করেছেন, এর কারন ছোট বেলায় তাদের মানসিক চাপে পড়াশুনা করতে হয়নি।
এসব শুনে মনটা ভাল হয়ে গেল। ছেলেকে এক ঘন্টা ধরে চেষ্টা করেও হোম ওয়ার্কের একটা অক্ষর লেখাতে পারলাম না, তারপরও মনে আশা হয়তো বড় হয়ে ভাল করবে। মায়ের মন, শুধু ভালোই ভাবতে জানে।
এবার নিজের কথা ভাবলাম, আমি স্কুলে কখনও পুরোপুরি সব পড়া করে যাইনি। বেশির ভাগ সময় কিছুই পড়তাম না। যেদিন খুব ভাল পড়াশুনা করতাম, সেদিন একটা ক্লাসের পড়া মুখস্ত করে যেতাম, বাকি ৫ ক্লাসের পড়ার সময় পেতাম না। ভার্সিটিতে আমাদের ৫টা প্রশ্নের উত্তর লিখতে হতো। ফাইনাল পরিক্ষার সময়ও আমি অনেক কষ্টে ১টা প্রশ্নের উত্তর পড়ে যেতাম, এটা কমন পড়লেও বাকি ৪টা আমাকে নিজের মতো করে বানিয়ে লিখতে হতো। আমার শুধু একটা গুন ছিল। আমি সব ক্লাস করতাম। এই জন্য হয়তো পরিক্ষার সময় চাপা মারতে সুবিধা হতো। আর মোটামুটি নাম্বার পেয়ে যেতাম :)
No comments:
Post a Comment