[English version has given below]
আমাদের দেশে ঈদুল ফিতর এর একটা বিশেষ গান আছে, "ও মোর রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ" চাঁদ রাতে এই গান জোরে জোরে না বাজালে বা না গাইলে আমাদের ঈদ হয়না। তাই এবার আমার ছয় বছরের ছেলেকে বহু কষ্টে এই গানটা রোজার মধ্যে শিখালাম। অনেক চেষ্টার পর ও ২ লাইন শিখতে পারলো। আমি বোঝালাম, এই গান দিয়ে আমরা সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাবো। মাতৃভক্ত ছেলে ঈদের দিন অক্ষরে অক্ষরে মায়ের কথা শুনেছিল।
ঈদের দিন যার সাথেই দেখা হচ্ছিল তাকেই ও দাড়িয়ে এই দুই লাইন গান শুনিয়েছে। এমনকি বাসায় যখন কাজের বুয়া আসলো ওকেও দাড়িয়ে গান শোনাতে লাগল, কারন আমি বলেছিলাম, সবাইকে শোনাতে। বুয়া এতো কিছু বোঝেনি, শাফিন গান শোনাচ্ছিল আর ও ওর মতো কাজে চলে গিয়েছিল।
আসলে, আমরা আমাদের চারপাশে যখন তাকাই তখন কিছু কিছু জিনিস পুরোপুরি উপেক্ষা করি। যেমন বাড়িতে কাজের মানুষ, রাস্তায় রিক্সাওয়ালা, অফিসে পিয়ন ইত্যাদি। এরা যেন কাজের মেশিন, মানুষ যখন বলি এদের আর গোনায় ধরিনা...
In our country we celebrate our Eid with an especial song, "O mor romjaner oi rojar sheshe elo khushir Eid (After the month of fast, happy day Eid has arrived)" before the Eid day we had to play or sing this song loudly, otherwise we don't feel its Eid day. So, I had taught my son this song. After trying hard he could learn two lines of it. I make his understand that we will give Eid greeting with song to everyone. But son followed my suggestion literally.
In the Eid day, my son went to every single person and sang this song. Even when the maid came to work, he went and started singing the son. Thought the maid didn't notice and continue her work.
This situation made me realize that actually when we think about human we forget some people to count. Like at home maid, on the road rickshaw puller, in office clerk etc. We take them as a working machine. So, when we say, all or us, we never count these people...
No comments:
Post a Comment