সবার এস.এস.সি এর রেজাল্ট পাওয়া দেখে নিজের কিছু অভিজ্ঞতার কথাও মনে পরে গেল। আমার বড় বোনের যখন রেজাল্ট দেয় তখন সবাই রেজাল্ট আনার জন্য শিক্ষা বোর্ডে চলে যেত। ওখানকার বোর্ডে সবার আগে রেজাল্ট টানানো হতো। কল্পনা করতে পারছেন অবস্থাটা কি হতে পারে। সবার হুড়াহুড়ি পরে যেত দেখার জন্য। আব্বা গিয়েছিলেন রেজাল্ট আনতে। যে সব ছেলে আরেকজনের ঘাড়ের উপর উঠে রেজাল্ট দেখছিল তাদের মাধ্যমে জানতে পেরেছিলেন, বড়পা পেয়েছিলেন স্টার মার্কস সাথে ৩টা বিষয়ে লেটার মার্কস (বিজ্ঞান বিভাগ)।
বলে রাখা ভাল, তখন অবজেক্টিভ প্রশ্ন ছিলো না।
বাড়ির প্রথম মেয়ে ভালো করেছে, সব আত্নীয় স্বজন বাড়িতে আসতে লাগল, এক দাদা বড়পাকে সোনার কানের দুল দিলেন। এবং সবাইকে আমাকে (আমি মেজ) উপদেশ দিলেন, বোনকে দেখে শিখ, ওর মতো ভাল করতে হবে। শুধু এক ফুপু বললেন, ওর মতো কেন, ওর চাইতে ভাল করতে হবে। সবাই এমন অবাস্তব কথা শুনে হেসে ফেললেন (আমি সহ)।
আমার পরীক্ষার রেজাল্ট নিয়ে বাবা-মা ততটা উত্তেজিত হলেন না। সকাল বেলা আব্বা অনেকগুলো খবরের কাজ নিয়ে আসলেন। তখন দৈনিক খবরের কাগজে রেজাল্ট দেয়া হতো। আমারটা পাওয়া গেল। স্টার মার্কস, সাথে ৪টা বিষয়ে লেটার মার্কস (মানবিক বিভাগ)।
শুধু বাবা-মা খুশি হলেন। কারন তখন ৫০০ অবজেক্টিভ প্রশ্নের ব্যাংক ছিল। আব্বা সবচেয়ে খুশি হলেন বাংলায় লেটার মার্কস দেখে। পরে জানতে পেরেছিলাম ২ নম্বরের জন্য স্ট্যান্ড করিনি।
No comments:
Post a Comment